বেহাল রাস্তা , ঢুকতে পারলো না অ্যাম্বুলেন্স : মারা গেল সাপে কামড়ানো রোগী

29th August 2020 10:28 pm বাঁকুড়া
বেহাল রাস্তা , ঢুকতে পারলো না অ্যাম্বুলেন্স : মারা গেল সাপে কামড়ানো রোগী


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   বেহাল রাস্তায় ঢুকল না অ্যাম্বুলেন্স । হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি । মৃত্যু হলো সাপে কাটা রোগীর অভিযোগ পরিবারের । দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা তার ওপর গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে আরো বেহাল হয়ে পড়েছে যাতায়াত যোগ্য একমাত্র রাস্তা ।  সেই রাস্তায় ঢুকলো না রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স । হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হওয়াতে মৃত্যু হল সাপে কাটা এক যুবকের । নাম বাপন রুইদাস । বয়স কুড়ি বছর । এমনই অভিযোগ উঠল বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের থানার নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হদল নারায়ণ পুর গ্রামে । 

পরিবার সূত্রে জানা গেছে  , রাতে বাপন রুইদাস বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল তখনই সাপ তার পায়ে কামড়ে দেয় । পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য তড়িঘড়ি খবর দেন অ্যাম্বুলেন্স কে।  কিন্তু বেহাল রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতেই পারলো না । ওই যুবককে আত্মীয় পরিজন নিয়ে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে সোনামুখী হাসপাতালে নিয়ে যান । সেখান থেকে তাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু শেষ রক্ষা হল না । অবশেষে হাসপাতালে মারা যায় ওই যুবক । মৃত যুবকের কাকা উজ্জ্বল রুইদাস বলেন , রাস্তা খারাপের জন্য এম্বুলেন্স গ্রামে ঢুকতে পারেনি । ফলে ভাইপোকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে । যার কারণে  ভাইপোর মৃত্যু হল । এছাড়াও তিনি বলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে লিখিতভাবে জানানো হলেও রাস্তা সংস্কারের কোনরকম উদ্যোগ নেওয়া হয়নি । এ বিষয়ে নারায়ন পুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রশান্ত সালকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি রাস্তা খারাপের কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন বর্ষার সিজেনে আমরা রাস্তায় কিছু ধাস বালি দিয়েছি । রাস্তাটি ঢালাই করা হবে । লকডাউনের কারণে রাস্তা সংস্কার করা যায়নি । তবে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।